৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ – (বাংলার ম্যাগনাকার্টা/বাংলার মুক্তির সনদ)
★তারিখ: ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল(রবিবার)।
বাংলায় :২২ ফাল্গুন, ১৩৭৭ বঙ্গাব্দ।
★ শুরুর: বিকেল ৩টা ২০মিনিট।
★ স্থান : তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান )ঢাকা।
ঐতিহাসিক স্থানটি স্বাধীনতা চত্বর নামেও পরিচিত।
★ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভিডিও রেকর্ড করেন,
— ” অাবুল খায়ের”
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশন।
তিনি এ ভাষণটি রেকর্ড করার জন্য ২০১৪ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পদক লাভ করেন।
★ ৭ মার্চের ভাষণের সাউন্ড রেকর্ডকারী-
এ এইচ খন্দকার।
★মাইকের নাম– ”কল রেডি” ।
★ ভাষণের স্থায়িত্ব :
ভাষণ দেন ২৩ মিনিট ।কিন্তু রেকর্ড করা হয় ১৯ মিনিট/১৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড / ১৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।
★মোট শব্দ : ১১০৮টি
★সর্বমোট বিধি : ৩৫ টি
★ ভাষণটি অনূদিত হয়েছে : ১২ টি ভাষায় (৪৩টি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে) ।
★ভাষণটি ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে ৫ম তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে।
★ রেসকোর্সে উপস্থিত ছিল: প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
★ ভাষণে উপস্থাপন করা হয় : ৪ দফা দাবি।
★ দাবি ৪ টি হলো:
১. সামরিক আইন (মার্শাল লো) প্রত্যাহার করতে হবে।
২. সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. ১৯৬৯ সালের সহ এই গণহত্যার তদন্ত করতে হবে।
৪. নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
★এ ভাষণে ৩ জন পাকিস্তানি ব্যাক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে।
তারা হলেন — ইয়াহিয়া খান,ভুট্টো সাহেব এবং মার্শাল লো জারি কারী আইয়ুব খান।
★ মূল বক্তব্য: স্বাধীনতা তথা মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা।
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
★এ ভাষণের:
১ম উক্তি : ভাইয়েরা আমার।
শেষ উক্তি: জয় বাংলা।
★উল্লেখযোগ্য অংশ : “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো
ইনশাল্লাহ”।
★এই সময় সারাদেশে ৩ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন চলছিলো।
★ ভাষণের প্রেক্ষাপট : ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।
★ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO এই ভাষণকে
Memory of the World Register এর অন্তর্ভুক্ত করে।
– ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরামর্শক কমিটি (IAC)
১৩০টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও
বক্তৃতার মধ্যে ৭৮টি বিষয়কে নির্বাচিত করে, এর
মধ্যে ৭ মার্চ ভাষণের অবস্থান ৪৮তম।
– ফ্রান্সের প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি “মোঃ শহিদুল ইসলাম ” ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি “মফিদুল হক” বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৭ মার্চ ভাষণের স্বীকৃতির জন্য ” ১২ পৃষ্ঠার”
একটি আবেদন পত্র প্রেরণ করেন।
– স্বীকৃতির স্বপক্ষে ১০টি প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি ও
প্রমাণপত্র জমা দেয়া হয়।
★ প্যারিসে ইউনেস্কো কার্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন
—–মহাপরিচালক ইরিনা বেকোভা।
★ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ডের ভাষণ সংকলনের ইংরেজি অনূদিত “We shall fight of the beaches: “The Speech the Inspired History” বইতে ২০১ পৃষ্টায়
বিশ্বের সেরা ৪১টি ভাষণের মধ্য স্থান পেয়েছে ৭ই মার্চের ভাষণ।
★ জ্যাকবের বইয়ে ভাষণটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে
The Struggle : This Time is the Struggle for Independence.
★বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকনের ৩ মিনিটের “গেটিসবার্গ “বক্তৃতার সাথে তুলনা করা হয়।
★”শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কেবল একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল” উক্তিটি করেছেন
–কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
★ “৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল দলিল” উক্তিটি করেছেন
—বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা।
★ ১৩ নভেম্বর ২০১৭-তে ঐতিহাসিক এ ভাষণের উপর
একটি বিশ্লেষণধর্মী বই “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ:
রাজনীতির মহাকাব্য” শিরোনামে
আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
★ ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র —– ওরা ১১ জন
পরিচালক :চাষী নজরুল ইসলাম।
★ রচিত কবিতা: ” স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো “
রচিয়তা : নির্মলেন্দু গুন।
★ এ ভাষণকে “রাজনৈতিক কাব্য” বলে আখ্যায়িত করেছেন
— নির্মলেন্দু গুন
★ এ ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচারিত হতো —” বজ্রকন্ঠ “নামে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৫০ টি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। বিভিন্ন একাডেমিক কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের খুঁটিনাটি অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। তাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি। লেখাটি ভালো লাগলে বা আপনার কোন উপকারে আসলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
১. ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির সুরকার কে?
উত্তর : আনােয়ার পারভেজ।
২. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র পাঠ করতেন কে?
উত্তর : এম আর আখতার মুকুল।
৩. ‘জল্লাদের দরবার’ অনুষ্ঠানে ‘কেল্লা ফতে খান’ বলতে কাকে বােঝানাে হতাে?
উত্তর : ইয়াহিয়া খান।
৪. কলকাতার কোথায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যালয় স্থাপিত হয়?
উত্তর : বালিগঞ্জ সার্কুলার রােডের ৫৭/৮ নম্বর দোতলা বাড়ি।
৫. মুজিবনগর (প্রবাসী) সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় ছিল কোথায়?
উত্তর : কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রােড।
৬. মুজিবনগর সরকারের মােট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ছিল কতটি?
উত্তর : ১৫টি।
৭. মুজিবনগর সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রম বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন কে?
উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।
৮. মুজিবনগর সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি, সেসব বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ।
৯. মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার মােট সদস্য ছিলেন কতজন?
উত্তর : ৬ জন।
১০. মুজিবনগর সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন কে?
উত্তর : এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
আরো পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র
১১. মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডাে বাহিনীর প্রথম অভিযান অপারেশন জ্যাকপট কবে পরিচালিত হয়?
উত্তর : ১৫ ও ১৬ আগষ্ট ১৯৭১।
১২. পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আকাশপথে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম সফল অভিযানের নাম কী?
উত্তর : অপারেশন কিলাে ফ্লাইট।
১৩. বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক অপারেশন কিলাে ফ্লাইট কবে, কোথায় পরিচালিত হয়?
উত্তর : ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে।
১৪. আয়তনে সবচেয়ে বড় সেক্টর ছিল কোনটি?
উত্তর : ১ নম্বর সেক্টর।
১৫. মুক্তিযুদ্ধে স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে হেমায়েত বাহিনী গড়ে ওঠে কোন অঞ্চলে?
উত্তর : গােপালগঞ্জ ও বরিশাল।
১৬. মুজিব ব্যাটারি কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গােলন্দাজ বাহিনী।
১৭. শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফী ইমাম রুমী কোন বাহিনীর সদস্য ছিলেন?
উত্তর : ক্র্যাক প্লাটুন।
১৮. ক্র্যাক প্লাটুনের আক্রমণের পদ্ধতি কী ছিল?
উত্তর : হিট অ্যান্ড রান।
১৯. ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ভারতীয় বিমানবাহিনীর ওপর পরিচালিত বিমান হামলার কোডনাম কী? উত্তর : অপারেশন চেঙ্গিস খান।
২০. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা কোনটি?
উত্তর : যশাের।
২১. শেখ মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় কখন?
উত্তর : ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালে, মধ্যরাতে।
২২.মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে সমগ্র বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল ?
উত্তর : ১১ টি।
২৩.কোন সেক্টরে নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না ?
উত্তর : ১০ নং সেক্টর।
২৪. স্বাধীনতা যুদ্ধে কত জন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেন?
উত্তর : ৭ জন।
২৫. কোন বীর শ্রেষ্ঠের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি?
উত্তর : বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
২৬ .কোন বীর শ্রেষ্ঠের কোন খেতাবী কবর নেই?
উত্তর : বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
২৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান।
২৮. প্রথম কোথায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসভায়।
২৯ .প্রথম কবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয ?
উত্তর : ২ ই মার্চ, ১৯৭১।
৩০ .বাংলাদেশের পতাকা কে প্রথম উত্তোলন করেন?
উত্তর : আ স ম আব্দুর রব।
৩১. কবে, কোথায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়?
উত্তর : ৩ মার্চ, ১৯৭১, পল্টন ময়দানে।
৩২.চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করা হয় ?
উত্তর : ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
৩৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কবে, কোথায় স্থাপন করা হয়?
উত্তর : চট্টগ্রামের কালুরঘাটে, ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
৩৪. মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা?
উত্তর : ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
৩৫.মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কবে, কোথায় সংগঠিত হয়?
উত্তর : ১৯ মার্চ, ১৯৭১ গাজিপুরে।
৩৬. শেখ মুজিব কত তারিখে পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্তিলাভ করেন ?
উত্তর : ১০ জানুয়ারী ১৯৭২।
৩৭.এ দেশের মাটি চাই, মানুষ নয়। এ উক্তি কার?
উত্তর : জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
৩৮. সর্বপ্রথম কবে বাংলাদেশের স্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?
উত্তর : ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
৩৯. বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার কবে গঠিত হয়েছিল?
উত্তর : ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
৪০.বাংলাদেশকে প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করা হয়েছিল কবে?
উত্তর : ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
৪১ .বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার কবে শপথ গ্রহন করেছিল?
উত্তর : ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
৪২.বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর : ৬ জন।
৪৩. বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর : মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
৪৪ .মুজিবনগরের পুরাতন নাম কি ছিল?
উত্তর : বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া।
৪৫.কে বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর রাখেন?
উত্তর : তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
৪৬. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার অভিযানের কোডনাম কী ছিল?
উত্তর : অপারেশন বিগবার্ড।
৪৭. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূচনা সংগীত হিসেবে প্রচারিত হতাে কোন গান?
উত্তর : জয় বাংলা, বাংলার জয়।
৪৮. ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির গীতিকার কে?
উত্তর : গাজী মাজহারুল আনােয়ার।
৪৯. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হতাে কী নামে?
উত্তর : বজ্রকণ্ঠ।
৫০. অপারেশন সার্চলাইটের পূর্বনাম কী?
উত্তর : অপারেশন ব্লিজ।