সেন্ট্রাল হসপিটালে ডেলিভারির সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর মা ইডেন কলেজ ছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন। রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে দুপুর ২টার পর তার মৃত্যু হয়। বাবার কবরের পাশে আঁখি এবং তার নবজাতক চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বলে জানিয়েছেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন।
সোমবার (১৯ জুন) সকালে সুমন বলেন, কুমিল্লার লাকসামে বাবার কবরের পাশেই তাদের কবরস্থ করা হবে। এখন পর্যন্ত আঁখি এবং আমার নবজাতকের লাশ ঢাকা মেডিকেলেই আছে। আঁখির ময়নাতদন্ত শেষ হলে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে।
গর্ভধারণের পর থেকেই ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) কাছে নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন ইয়াকুব আলী সুমনের স্ত্রী মাহাবুবা রহমান আঁখি। এর মধ্যে গত শুক্রবার (৯ জুন) তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। সেই রাতেই ডেলিভারির জন্য ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ওই নারীর ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।
এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ইয়াকুব আলী।