চাকরির পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজিতে ভালো করার উপায়
যেকোন চাকরি পরিক্ষার পদ্ধতি –
পরীক্ষা পদ্ধতি ও মানবন্টন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। প্রথমে নেওয়া হয় এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী পরীক্ষা।
এমসিকিউ পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৮০টি প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর যোগ হবে। প্রত্যেক ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময় ৮০ মিনিট বা ১ ঘন্টা ২০ মিনিট। গড়ে প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য ১ মিনিট সময় পাওয়া যাবে।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হয় মৌখিক পরীক্ষায়। এ ধাপে থাকে ২০ নম্বর। ভাইভায় টিকলে পরবর্তী যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (লিখিত) মানবণ্টন আগের মতো থাকলেও এবার কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ করা হবে প্রার্থীর রোল নম্বর অনুসারে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে। যাতে পাশাপাশি বসা প্রার্থীদের সেট না মিলে যায়।
প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাতে গণিতের সম্ভব্য অংক সমুহ-
পরীক্ষার আগের রাতে জেলা প্রশাসকের কাছে অনলাইনে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। সহায়ক বই: নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই আয়ত্ত্বে থাকতে হবে। বিশেষ করে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, গণিত, ইংরেজি বোর্ড বইগুলো সংগ্রহে রাখতে পারেন।
বিগত বছরের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখলে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনে জেলাওয়ারী প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নগুলো সংগ্রহে থাকলে প্রস্তুতিতে বেশ কাজে দেবে। বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ গাইড বই পাওয়া যায়। ভালো প্রস্তুতিতে এগুলোও সহায়ক হবে।
প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজিতে ভালো করার উপায়-
চাকরি পরিক্ষার জন্য ইংরেজি প্রস্তুতিঃ
সিলেবাস:
ইংরেজিঃ গ্রামারে Right forms of verb, Tense, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Spelling, Sentence Correction- এর নিয়ম জানতে হবে এবং গ্রামার বইয়ের উদাহরণ থেকে চর্চা করতে হবে। মুখস্থ করতে হবে Phrase and Idioms, Synonym, Antonym. ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ আসতে পারে। তাই বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করলে ভালো করা সম্ভব।
বাংলা ও ইংলিশের জন্য যেকোন সিরিজের বই (নতুন সংস্করণ) থেকে শুধু মাত্র চ্যাপ্টারের শেষে যুক্ত বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলি সলভ করবেন বিস্তারিত পড়ার সময় নাই। তাছাড়া প্রশ্ন ডিরেক্ট কমন পড়বে অযথা প্রেসার নেবার দরকার কি।
বাংলা প্রস্তুতিঃ
বাংলা: সন্ধি(২), বিপরীত শব্দ (২/৩), সমার্থক শব্দ(২), শুদ্ধ বানান (২), এককথায় প্রকাশ (২), সমাস (২), বাগধারা (২), কারক-বিভক্তি, ছদ্মনাম/উপাধি, দ্বিরুক্ত শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, বাক্য (সরল, জটিল, যৌগিক) ও পদ নির্ণয়।
প্রচীন যুগ,মধ্যযুগ থেকে ১ অথবা ২ মার্কস আসতে পারে তবে মধ্যযুগ বেশি গুরুত্বপূর্ণ,আধুনিক যুগের সাহিত্য কর্মের মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস/রচনাসমগ্র(১/২ মার্কস)এবং পরিচিত কবি সাহিত্যিকের রচনা বা জন্ম মৃত্যু নিয়ে ১/২ মার্কস আসতে পারে যেগুলো পারার মত।
ইংলিশ: যেকোন সিরিজের বই থেকে পড়লেই চলবে তবে English For Competitive Exams বইটিতে বিগত সালের প্রশ্ন বেশি থাকায় এটাই বেস্ট বই। Right form of verb,Fill in the blank with appropriate word/preposition(2), Voice Change (1/2),Narration(1), Sentence Correction(2),Spelling (2), Parts of speech Identification (2),Synonym+antonym(3/4), Idioms & Phrase.
প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজিতে ভালো করার উপায়-
গণিত: দশমিকের (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ), শতকরা, লাভ-ক্ষতি, মুনাফা, ল.সা.গু, গ.সা.গু, ঐকিক নিয়ম (কাজ, খাদ্য, সৈন্য), অনুপাত:সমানুপাত, সংখ্যা পদ্ধতি, বীজগাণিতিক মান নির্ণয়, উৎপাদক নির্ণয়, গড়, মধ্যক, প্রচুরক নির্ণয়, ত্রিভুজক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্রের বেসিক সূত্রের অংকসমূহ, সরলরেখা, ধারা, গাছের উচ্চতা/মিনারের উচ্চতা/মইয়ের দৈর্ঘ্য/সূর্যের উন্নতি কোন ইত্যাদি বিষয়ক অংকসমূহ।
সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও কম্পিউটার: এই অংশে ভাল করার জন্য খুব বেশি পড়তে হবেনা। সাধারণ জ্ঞান অংশে ১৪/১৫ টার মত প্রশ্ন আসতে পারে তার ভিতর ১০-১২ টাই হবে সালের রিপিট প্রশ্ন।বাকী ২/৩ টা সাম্প্রতিক বিষায়াবলী দিতে পারে। তারপরও ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ,বাংলাদেশের জনপদ, নদ-নদী, বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য অন্তর্জাতিক সংগঠন, জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন, বিশ্বের বিভিন্ন শহরের নাম ইত্যাদি…
প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজিতে ভালো করার উপায়-
বিজ্ঞান থেকে দু’তিনটি কমন প্রশ্ন আসবে যেগুলো চোখের পলকে গোল্লা ভরাট করা যাবে মানে হরহামেশা রিপিটেড সাল। কম্পিউটার থেকে একটি বা দু’টি প্রশ্ন আসবে একেবারে বেসিক কম্পিউটার থেকে। নিজের মগজের সফটওয়্যার থেকে কম্পিউটারের বৃত্ত ভরাট করবেন।
মৌখিক পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই শুধু মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় থাকবে ২০ নম্বর। একাডেমিক ফলাফল বা শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর থাকবে ৫ নম্বর। এক্সট্রা কারিকুলাম (নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি) এর ওপর বরাদ্দ থাকবে ৫ নম্বর।বাকি ১০ নম্বর থাকবে সাধারণ জ্ঞানের ওপর। মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রার্থীর নিজ জেলার থানা বা উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা, সংস্কৃতি, জেলার ইতিহাস, রাজনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি।
প্রাথমিকে পরীক্ষার জন্য ৩০দিন প্রস্তুতির জন্য অনেক সময়। শুধুমাত্র আপনি মুখস্ত করে প্রিলি পাস করে আসবেন এটা সবার জন্য হয় না। বুদ্ধি খাটান; তবে মনে রাখবেন প্রাথমিকের প্রিলিতে আপনি ভুল দাগালে কিন্তু মার্ক কাঁটা যাবে, সুতরাং ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে হবে। আরেকটা কথা, এই মার্ক যেহেতু আপনার মূল মার্কের সাথে যোগ হবে না, সুতরাং এখানে উতরে যাবার জন্য আপনাকে দুনিয়ার সব কিছুই পারতে/ জানতে হবে না।
ইংরেজিতে ভালো নম্বর তুলতে যেসব মাথায় রাখতে হবে
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এতে ভালো না করলে গড় নম্বর অনেক কমে যাবে। এখানে পার্ট এ এবং পার্ট বি মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বর বরাদ্দ আছে। রিডিং কম্প্রিহেনশন থেকে ১০০ নম্বর; যা সাধারণ প্রশ্ন ৩০, ব্যাকরণ ৩০, পত্রিকা সম্পাদকের নিকট চিঠি ২০ এবং সারাংশ ২০ নম্বর যোগ করলে পাওয়া যায়। আর পার্ট বি–তে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ এবং রচনায় ৫০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বর।
সর্বমোট ২০০ নম্বর। সময় পাওয়া যাবে ৪ ঘণ্টা। আর ইংরেজিতে রাতারাতি ভালো করা যায় না। আবার অনেক টপিক আছে, যা সরাসরি পরীক্ষায় আসবে না। অর্থাৎ কমন পড়বে না। অনেকের ধারণা, কমন যেহেতু পড়বে না, তাহলে পড়ে লাভ কী! লাভ হলো, আপনার চর্চা বহাল থাকলে সহজে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, কতগুলো অনুশীলন করলেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতটা বুঝে বুঝে অনুশীলন করলেন। তাই বুঝে বুঝে অনুশীলন করা ছাড়া ভালো কিছু হবে না।
প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজিতে-
যা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এক সম্ভাবনাময় সুযোগ। আমাদের লক্ষ্য বেকার লোকদের সঠিক কাজ খুঁজে পেতে সহায়তা করা। ক্যারিয়ার গঠনে পাশে থাকা। আপনি সরকারি চাকরি, চাকরির বিজ্ঞপ্তি, সরকারী চাকরি বিডি, সপ্তাহিক চাকরির খবর, সকল সরকারি চাকরি, চাকরির বিজ্ঞপ্তি বিডি, দৈনিক, সাপ্তাহিক চাকরির খবর, প্রতিদিনের সরকারি চাকরির খবর, নতুন চাকরীর বিজ্ঞপ্তি, বিডি চাকরি বিজ্ঞপ্তি, বিডি সরকারী চাকরী, চাকরির পাত্রিকা, সরকারী চাকরীর বিজ্ঞপ্তি, আজকের চাকরির খবর, সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, সংস্থার চাকরি, আজকের চাকরির খবর ২০২২, এনজিও চাকরি, বেসরকারি চাকরি ব্যাংক জবস আন্তর্জাতিক চাকরির সংবাদপত্রের চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং জবস, শিক্ষণীয় গল্প, রুপকথার গল্পসহ।
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ের গুরুত্ব
চাকরির প্রস্তুতি-র আলোচনায় বিসিএসের কথা সবার প্রথমে আসে । বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৩৫ নম্বর এবং ২০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকে। ইংরেজিতে ২৫-৩০ নম্বর ব্যাংকের প্রিলিমিনারিতে থাকে এবং ৭০-৯০ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় বরাদ্দ । অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতেও প্রায় ১৫-২০টি ইংরেজি প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন চাকরির পরীক্ষায় আপনার জন্য ইংরেজি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
চাকরির প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রস্তুতি ৩টি ভাগে বিভক্ত করা যায়ঃ
১. গ্রামার
২. লিটারেচার
৩. ভোকাবুলারি।
তবে ইংরেজি সাহিত্য থেকে ব্যাংকের প্রিলিমিনারি ও পরীক্ষায় খুব বেশি প্রশ্ন আসে না। গ্রামার আর ভোকাবুলারি থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হয় । গ্রামার অংশের প্রস্তুতি ইংরেজি গ্রামার অংশ থেকে বিসিএস পরীক্ষায় ২০ নম্বর থাকে।
এছাড়া অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় এই অংশ থেকেই বেশির ভাগ প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিগত বছরগুলোর প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ২০টি প্রশ্নের বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ কমন টপিক থেকে দেয়া হয়।
Sentence Correction হলো এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । মূলত এটিআলাদা কোনো টপিক নয়, বরং গ্রামার আইটেমের অনেকটাই সমন্বিত টপিক। এগুলোর মধ্যে Subject-Verb Agreement, Illogical Comparisons, Parallelism, Dangling/Misplaced Modifiers, Inversions-সহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
তবে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে যেভাবেই Sentence Correction আসুক না কেন, আপনি উত্তর দিতে পারবেন।আপনাকে মনে রাখতে হবে যে বেশির ভাগ প্রশ্ন কিন্তু এগুলো থেকেই আসবে। কখনোই গ্রামার মুখস্থ করবেন না।
এখানে প্রতিটি বিষয়বস্তু বুঝে অনুশীলন করতে হবে। যত বেশি চর্চা করবেন, তত বেশি অগ্রসর হবেন; আর নিজের ভুলগুলো নিজেই ধরতে পারবেন। নমুনা প্রশ্ন দেখে অনুশীলন করলে পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর করতে পারবেন।
যে বই থেকেই পড়েন না কেন, পড়ার সময় আলাদা একটি নোট খাতা রাখবেন। গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো দু-একটি উদাহরণসহ লিখে রাখতে পারেন অথবা পড়ার সময় আপনি বইয়ে হাইলাইটার দিয়ে দাগিয়ে রাখতে পারেন, যেন পরীক্ষার পূর্বে অল্প সময়ে দ্রুত রিভিশন দিতে পারেন।
Preposition, Idioms and Phrases, Article ও Group Verb—এই টপিকগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই। এ ছাড়া আরো কিছু টপিক যেমন—Parts of Speech, Identification of Clause, Conditional Sentence, Embedded Question, Degree of Comparisons, Voice, Narration,—এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিক।
ইংরেজি গ্রামারে অনেক টপিক থাকলেও আশা করা যায় পরীক্ষায় সর্বাধিক কমন পাবেন এই টপিকগুলো পড়লে। ► এসব টপিকের জন্য TOEFL Cliff’s & Barron’s, Common Mistakes in English by T. J. Fitikides-এর পাশাপাশি বাজারের ভালো মানের দু-একটি নিয়োগ প্রস্তুতির বই অনুশীলন করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর মধ্যে যেটি যে বইয়ে তুলনামূলক সহজবোধ্য মনে হয়, সেটি সেখান থেকে পড়লেই ভালো।
যেভাবে ভোকাবুলারি প্রস্তুতি নিবেন
ভোকাবুলারি বাদ দিয়ে আপনি ইংরেজিতে ভালো করার কথা চিন্তাই করতে পারবেন না। বেশির ভাগ চাকরির নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভোকাবুলারিভিত্তিক প্রশ্ন বেশি আসে। তাই এ বিষয়ে কোনোভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। Synonym, Antonym, Analogy, Correct Spelling ইত্যাদি টপিকস ভোকাবুলারি অংশের মধ্যেই পড়ে।
তাছাড়া লিখিত পরীক্ষায় Reading Comprehension, থেকে শুরু করে Free hand writing—প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভোকাবুলারিতে দক্ষতা একান্ত প্রয়োজন। বাজারে ভোকাবুলারির জন্য প্রচুর বই রয়েছে। তাই একটু কৌশলী হলে দ্রুত ভোকাবুলারি আয়ত্ত করা যায়
১। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন,গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর তালিকা করুন। অজানা শব্দগুলোর অর্থ যখন-তখন জানতে স্মার্টফোনে ‘ইংরেজি থেকে বাংলা’ ডিকশনারী অ্যাপ ইনস্টল করে রাখুন। তাহলে পত্রিকা পড়ার সময় অজানা-দুর্বোধ্য শব্দগুলোর অর্থ সহজেই দেখে নিতে পারবেন।মন চাইলে অবসর সময়েও বসে বসে পড়তে পারবেন।
২। GRE Vocabulary Builder-Magoosh GRE-অ্যাপটি আপনার স্মার্টফোনে ইনস্টল করে নিলে এখানে আপনি কুইজ দিতে পারবেন। বিভিন্ন পর্যায়ে আপনার অবস্থান যাচাই করতে পারবেন।
৩। নেমনিক বা মনে রাখার কৌশল ব্যবহার করে শব্দ শেখা যায়।mnemonicdictionary.com এই ধরনের ওয়েবসাইটে আপনি মনে রাখার মতো কৌশল পাবেন। এ ছাড়া বাজারে নেমনিকসহ এ জাতীয় বিভিন্ন বই পাওয়া যায়, সেগুলোও দেখতে পারেন।
৪। শব্দের Root, Suffix, Prefix এগুলো বুঝে বুঝে পড়ুন। তাহলে অল্প পড়েই এ সম্পর্কিত বহু শব্দ শেখা হয়ে যাবে।
৫। এ ছাড়া বাজারে চাকরির পরীক্ষার বিভিন্ন বই থেকেও ভোকাবুলারি পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, ভোকাবুলারি পড়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেগুলো রিভাইস ও প্রয়োগ করা।
প্রতিনিয়ত চর্চায় না থাকলে আপনি কখনোই ভোকাবুলারিতে ভালো করতে পারবেন না। তাই নিয়মিত ভোকাবুলারি অনুশীলন করুন। তাহলে দেখবেন, আর মুখস্থ করতে হবে না, এমনিতেই অনেক শব্দ আয়ত্তে চলে এসেছে। যেভাবে ইংরেজি লিটারেচার অংশের প্রস্তুতি নিবেন বিসিএস পরীক্ষায় ইংরেজি লিটারেচারে ১৫ মার্কস থাকে। এ ছাড়া সরকারি কর্ম কমিশনসহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় দু-চারটি লিটারেচারের প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
বিসিএসে এই অংশটা প্রিলিমিনারিতে জাদুর মতো সাহায্য করতে পারে। আপনি এত অল্প পড়ে আর কোনো বিষয়ে এই টপিকের মতো কমন পাবেন না।
১। বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা আগের বছরের প্রশ্নগুলো প্রস্তুতির শুরুতেই চর্চা করুন।.
২।কোন সাহিত্যিক কোন যুগের এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে Elizabethan, Romantic, Victorian ও Modern যুগ।তাই ইংরেজি সাহিত্যের যুগ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখুন। পিরিয়ডের প্রধান প্রধান সাহিত্যিক ও সাহিত্যকর্মের নামগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
৩।William Shakespeare, William Wordsworth, John Keats, Charles Dickens, GB Shaw এর মত বিখ্যাত সাহিত্যিকের বিখ্যাত গ্রন্থ এবং উক্তিগুলো ভালো করে পড়ুন।
৪।Google এ সার্চ দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর মূলভাবটি পড়ে নিতে পারেন। এতে সহজেই মনে থাকবে!
৫। Literary terms ও সাহিত্যকর্মের ধরনগুলো গুরুত্বসহকারে পড়ুন। ইংরেজি সাহিত্য অনেক বিশদ একটি বিষয় তাই অনেকের এই বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা না থাকাটা স্বাভাবিক। প্রথমে কঠিন মনে হলেও কয়েকবার পড়ে দেখুন, ধীরে ধীরে এটা হয়তো আপনার কাছে ভালো লাগতে শুরু করবে। বাজারে ইংরেজি সাহিত্যের ওপর বিক্রি হওয়া বইগুলো ঘেঁটে তুলনামূলক সহজ একটি বই সংগ্রহ করতে পারেন।
চাকরির পরিক্ষায় ভালো করার কিছু পরামর্শ:
ক) ১০ম থেকে ৪৪ তম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ অংশটি পড়ে নেবেন। বাকিগুলো না পড়লেও চলবে।
খ) কম্প্রিহেনশন যত পারেন, পড়ুন। পড়ার সময় চারটি বিষয় মাথায় রাখবেন।
১. অজানা শব্দের অর্থ অবশ্যই আয়ত্ত করবেন।
২. বাক্যের অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন।
৩. পুরো অনুচ্ছেদের মূলকথা বের করুন।
৪. সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন।
বাকি প্রশ্নগুলো অনুশীলন না করলেও চলবে। প্রয়োজনে অল্প কম্প্রিহেনশন চর্চা করবেন। কিন্তু ভাসা ভাসা করে দ্রুত শেষ করতে যাবেন না। এতে সব বৃথা যাবে। আরেকটা কথা, ইংরেজি পত্রিকার সমসাময়িক তাৎপর্যপূর্ণ কলাম বা লেখা পড়তে পারেন। তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এটা পরোক্ষভাবে আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশনে সাহায্য করবে। ৩৫তম বিসিএসে পত্রিকার একটি খবর থেকেই কম্প্রিহেনশন এসেছিল।
গ) ব্যাকরণ অংশে নতুন কিছু নেই। যা আপনি প্রিলিতে পড়েছেন, তা-ই। একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন। Word Formation, Parts of speech, Punctuation, Sentence Making, Meaning of word খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঘ) প্যাসেজ থেকেই সামারি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভুলেও কোনো হুবহু বাক্য গ্রহণ করতে যাবেন না। নিজের মতো করে লিখবেন। বাসায় অনুশীলন করুন, ভুল কমে আসবে। আর এটা এত পড়ার কিছু নেই। যদি কেউ একান্ত না পারেন, তবে শব্দ পরিবর্তন করে সমার্থক শব্দ নেবেন, বড় বাক্য ছোট করে নেবেন।
ঙ) সম্পাদকের নিকট চিঠি পড়ার কিছু নেই। শুধু নিয়মকানুন জেনে রাখুন। তাতেই হবে। আর দুই পৃষ্ঠার বেশি অবশ্যই লিখবেন না। এখানে যেন কাটাকাটি, বানান ভুল বা অসুন্দর কিছু না হয়!
চ) ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিং ইংরেজিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন বিষয় আয়ত্তে থাকলে আপনি ইংরেজি লেখায় ভালো করবেন, তা বলা হলো:
১. শব্দের অর্থ শিখুন, যত পারা যায়। অনেকেই বলেন, মনে থাকে না। কিছু ভুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সে জন্য পড়া থামাবেন না। যা গিয়ে, যা থাকে তা-ই লাভ। শব্দের অর্থ না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না। তাই ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিংয়ে ভালো করতে হলে আপনার শব্দভান্ডার মজবুত থাকতে হবে। আর এটি কিন্তু চলমান প্রক্রিয়া। শব্দ শেখার মধ্যেই থাকবেন। হোক অল্প।
২. মানসম্মত রাইটিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল কিছু শব্দের অর্থ বা শব্দগুচ্ছ শিখবেন। যেমন ‘ধনী–গরিবনির্বিশেষে’—এর ইংরেজি হবে Irrespective of rich and poor. আপনি যদি অন্যভাবে বলেন, তাহলে মানসম্মত লেখা হবে না। আপনার লেখার মান ভালো হলে, নম্বর ভালো আসবে। এটা তো স্বাভাবিক।
৩. ইংরেজি বাক্য লেখার সময় আপনাকে Preposition ব্যবহার করতেই হয়। এতে অনেকেই ভুল করেন। তাই শুদ্ধ বাক্য লিখতে হলে এ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য Prepositionগুলোর বাংলা অর্থ ও সাধারণ ব্যবহার জেনে নেবেন। অবশ্যই বুঝে বুঝে পড়বেন। আর কিছু Appropriate Preposition পড়ে নেবেন। তাহল ধীরে ধীরে ভুল কমে যাবে।
৪. Tense সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটা ছাড়া কিচ্ছু করার নেই। ১২টি টেন্সের বাংলা সংজ্ঞা, চেনার উপায়, গঠনপ্রণালিসহ ভালো করে পড়বেন যেন বাক্য দেখলেই আপনি বোঝেন কোন Tense অনুযায়ী লিখতে হবে। ধরুন, আপনি বলতে চাচ্ছেন, ‘কাল স্কুলে যাব’, এটি যদি এভাবে লেখেন, ‘I was go school’, তাহলে কী হলো? যিনি খাতা দেখবেন, তিনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। আপনার কাউকে অজ্ঞান করার অধিকার নেই। তাই ভালো করে Tense পড়ুন।
৫. প্রচুর অনুশীলন করুন। বুঝে বুঝে করুন। ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিংয়ের জন্য অনুশীলন ব্যাপক কাজে দেয়। সম্ভব হলে যে ফ্রি–হ্যান্ডে ভালো, তাঁর সাহায্য নিতে পারেন। লেখার পর তাঁকে দেখাতে পারেন। তিনি ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিলে বুঝে নিন। লজ্জার কিছু নেই।
৬. ইংরেজি পত্রিকা থেকে একটু সাহায্য নেবেন। প্রতিদিন দরকার নেই। কলামগুলো পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন, কীভাবে ওরা বাক্য তৈরি করল। এটা মাঝেমধ্যে নিজেও অনুসরণ করবেন। আর নতুন শব্দ পেলে মুখস্থ রাখবেন।
৭. যদি সম্ভব হয়, প্রতিদিন একটা টপিক ধরে এক পৃষ্ঠা করে লিখবেন। চর্চা না করলে তো হবে না। প্রথম দিকে সহজ টপিক নিয়ে লিখবেন। আস্তে আস্তে কঠিন নেবেন।
৮. তথ্যভিত্তিক ইংরেজি লেখা হলে শুধু ইংরেজিই লিখবেন না, সঙ্গে তথ্য দেবেন। এতে লেখার মান বাড়বে। আর রিডার সন্তুষ্ট হলে আপনার লাভ।
৯. Tense ও Preposition সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার জন্য চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের এসএসসি ইংলিশ সেকেন্ড পেপার গাইডটা পড়তে পারেন। ইংরেজি পত্রিকা The Daily Star নিন।
ছ) অনুবাদের জন্য ফ্রি–হ্যান্ডের নিয়মগুলো বেশ কাজে দেবে। চর্চা করতে থাকুন। আর অনুবাদ শতভাগ মিলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বড় বাক্য হলে ভেঙে একাধিক বাক্যও হতে পারে। বিষয়বস্তুটা বোঝাতে পারলেই নম্বর আসবে। লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে
জ) রচনা কোনটা আসবে বলা কঠিন। তবে ১০টি সাধারণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন যা আপনার সাধারণ জ্ঞান এবং বাংলা রচনায়ও কাজে লাগবে। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকুন। নোট করুন।
১. নারী (নির্যাতন, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, মুক্তি)
২. শিক্ষা (সমস্যা, নীতি, সম্ভাবনা, হার)
৩. গণতন্ত্র (সমস্যা, সম্ভাবনা, বর্তমান চিত্র)
৪. দুর্নীতি চিত্র (টিআইবি, টিআই, বিভিন্ন খাতের অবস্থা)
৫. জ্বালানি পরিস্থিতি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, খনিজ তেল, উৎপাদন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা)
৬. শিল্প ( পোশাক, চামড়া, পর্যটন এবং এগুলোর সার্বিক দিক)
৭. দারিদ্র্য পরিস্থিতি (হার, কারণ, চিত্র, সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ)
৮. আইসিটি চিত্র (মুঠোফোন, ইন্টারনেট, পরিকল্পনা, সুবিধা, অসুবিধা)
৯. পরিবেশ অবস্থা (ভূমিকম্প, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ)
১০. সন্ত্রাসবাদ (ধর্মীয়, রাজনৈতিক, আইএস, বোকো হারাম, প্রেক্ষাপট—বিশ্ব ও বাংলাদেশ, গৃহীত পদক্ষেপ)।
ঝ) তিনটি রচনার মধ্যে যে রচনায় আপনি তথ্য বেশি দিতে পারবেন বা তথ্য বেশি দেওয়ার সুযোগ আছে, সেটা লেখার জন্য নির্বাচিত করবেন। তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক বিষয়ে লেখা খুব কঠিন। যেমন- Nature vs Nurture খুব কঠিন একটি রচনা। লিখতে বহুজনই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না।
ঞ) বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত ইংরেজি গাইড সংগ্রহ করে নিন। অনুশীলন ও বিগত প্রশ্ন পড়তে কাজে লাগবে।
ট) রাইটিং সেকশনগুলোয় সম্ভব হলে Phrase and Idiom ব্যবহার করবেন। এতে লেখার একঘেয়েমি দূর হয়; পাঠক পড়ে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবে। তবে অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার যেন না হয়। অনেক কিছু তো হলো, আর দরকার নেই। এবার কাজে লেগে পড়ুন। আশা করি, আপনার ইংরেজির উন্নতি হবে। ধন্যবাদ।